শিক্ষা অর্জন প্রত্যেক নর- নারীর মৌলিক অধিকার। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক যেখানে নারী, সেখানে নারীকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র পুরুষ সেই অধিকার অর্জন করবে তা হয় না। তাই, নর ও নারী যাতে তাদের মৌলিক অধিকার সমান ভাবে অর্জন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে যোগাযোগ বিছিন্ন ও যুগ যুগের উপেক্ষিত একটি ক্ষুদ্র পল্লীতে ০১/০১/১৯৯৪ তারিখে সৈয়দা ময়েজ উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শুভ যাত্রা। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা লগ্নে ১৫/২০ কিলোমিটারের মধ্যে মেয়েদের পড়ালেখার কোন পৃথক ব্যবস্থা ছিল না। তাই, ডাঃ এ.টি.এম. হোসেন (Ex. Director of Bangladesh Health) তাঁর জন্ম স্থান রাজশাহী জেলার, বাগমারা উপজেলার, নরদাশ গ্রামে। অত্র এলাকার জনসাধারণের সহযোগিতায় পিতা ও মাতার নামে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর মাতার নাম সৈয়দা এবং পিতার নাম ময়েজ উদ্দিন, আর তাই এই বিদ্যালয়টির নাম করণ হয় সৈয়দা ময়েজ উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় । প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সু-শিক্ষিত, সু-দক্ষ শিক্ষক/ শিক্ষিকা মন্ডলী ও ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই, প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মোছাঃ বিলকিছ বানু বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। আরো অনেকেই বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে খেলাধুলায় সুনাম অর্জন করেছে। এক কথায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টি পড়ালেখা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন সহ সর্বক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখছে। তাছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বাগমারা উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসাবে পুরুস্কৃত হয়েছেন ।
পরিশেষে, প্রতিষ্ঠানটির উত্তরাত্তোর আরও উন্নতি কামনা করছি। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। See Full Site
03/03/2016
Education, School
Click one of our contacts below to chat on WhatsApp